ডিজিটাল বিশ্বে ডিজিটাল জীবনের ভবিষ্যৎ।

 ডিজিটাল বিশ্বে  ডিজিটাল জীবনের ভবিষ্যৎ।

ডিজিটাল বিশ্বের নমুনা।  ছবি পার্সোনাল ফাইল 

ডিজিটাল বিশ্বে   আমাদের  জীবনের ওপর  কতটা প্রভাব ফেলবে অথবা  টেকনোলজির  দ্রুত  অগ্রগতি পৃথিবীটাকে কতটা বদলে  দেবে, তা বোধ হয় ২০০০ সালের আগে আমরা অনেকেই কল্পনা করতে পারিনি। 

একটা সময় ছিল জগন ডিজিটাল জীবনের আবির্ভাব ঘটেনি, ভাষা শিক্ষকরা  শেখাতেন কি করে চিঠি লিখতে হয় -চিঠির মাথা, দেহ ও  লেজ কেমন  হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতেন , তারপর লেখা প্র্যাকটিস  করতে  ক্লাসের পর ক্লাস সম্পূর্ণ করতে হতো  , অনেক কসরত ! 

আজকাল ডিজিটাল বিশ্বে  সেই রকম চিঠির  কোন কদর নেই, পোস্টঅফিস থাকলেও পোস্ট নেই- কারণ লেখক থাকলেও পড়ুয়া নেই।  সেই সমস্ত শিক্ষকদেরকে  ছাত্ররা  'ব্যাকডেটেড' আখ্যায়িত  করে, কেননা  উনারা ডিজিটাল বিশ্বের কোন খবর রাখেন না বা রাখলেও বোঝেন না। এমনকি  উনারা    'হোয়াটসআপ' অপারেট  করতে পারেননা। 

একজন শিক্ষক তো জিজ্ঞেস করেই ফেললেন , 'হোয়াটসআপ' টা কি ? 

বুঝিয়ে বললাম  -বিশ্বের বৃহত্তম ডাকঘর- ডিজিটাল ডাকঘর । এখানে লেখক ডিজিটাল,পাঠক ডিজিটাল , পিওন ডিজিটাল, চিঠিটাও ডিজিটাল -তার নাম ই মেইল। 

 সর্বক্ষণ বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে  চিঠি চালাচালি চলছে, ভদ্রলোক বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। তারপর মুখ ফ্যাকাসে করে উঠে গেলেন যখন শুনলেন যে চিঠি লেখা না জানলেও চলে , তবে কপি পেস্ট করতে জানতে হয়- নীচে 'সংগৃহীত ' শব্দটুকু লেখার  সৌজন্যবোধ ও অনেকের  নেই। কেও কেও শেক্সপীয়ারের লেখা  থেকে তার  নাম  এবং  " " মার্ক টুকুও  গায়েব করে দিচ্ছে । কজন আর শেক্সপীয়ার পড়ে - চালিয়ে  দিতে  পারলে ভেতরে কেমন লেখক লেখক অনুভুতি হয়'। 

ওদিকে, পাড়ার ক্লাবগুলো এখন ঠিকানা বদল করে ফেসবুকে অবস্থান করছে ,ওখানে অনেক ডিজিটাল ক্লাব দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে  ।সাত পাঁচ ভাবতে  ভাবতে আমার মধ্যেও এক খেয়াল চাপলো। ডিজিটাল কিছু একটা  করা দরকার নাহলে লোকে আমাকে ও ব্যাকডেটেড বলতে শুরু করবে।  

খেয়ালটা  লিখে ফেললাম আমার স্বপ্নের ডায়েরীতে - একটা ডিজিটাল ক্লাব তৈরী করব, মস্তিষ্কে চিন্তার আলোড়ন তৈরী হলো, চিতা বস্তুটা খুব শক্তিশালী ,মুহূর্তের মধ্যে একটা নাম ও খুঁজে এনে দিলো  "Eduক্লাব"-পছন্দ -অপছন্দের রাস্তায় না গিয়ে মেনে নিলাম।  

নামটা ব্যাকডেটেড বলে সদস্য হয়তো কম হবে ,ইংরেজ ,মার্কিনরা যোগ নাও দিতে পারে তবে  ব্যাকডেটেড  মার্কা মাস্টার মশাই গুলোর যে গতি হবে তা প্রায় সুনিশ্চিত।

"আমরা 9​​মাসের মধ্যে ফ্লিনস্টোন থেকে  জেটসনে গিয়েছিলাম।"
- ড্যান শুলম্যান, পেপাল

"আগামী 10 বছরে সমস্ত ব্যবসায়ের কমপক্ষে 40% লোক মারা যাবে ... তারা যদি নতুন প্রযুক্তি সংযুক্ত করার জন্য কীভাবে তাদের পুরো সংস্থাকে পরিবর্তন করবেন তা আবিষ্কার না করে।"
- জন চেম্বারস, সিসকো সিস্টেম

"যখন ডিজিটাল রূপান্তরটি সঠিকভাবে করা হয় তখন এটি একটি শুঁয়োপোকাটিকে প্রজাপতিতে পরিণত করার মতো হয়, কিন্তু যখন ভুল হয়ে যায়, আপনার সমস্ত কিছুই সত্যিই দ্রুত একটি শুঁয়োপোকা।"
- জর্জ ওয়েস্টারম্যান, ডিজিটাল অর্থনীতিতে এমআইটি স্লোয়ান ইনিশিয়েটিভ

"আমি বিশ্বাস করি যে একটি কারণ রূপান্তরের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হ'ল নরমাং সকরণের ভয়” "
- গণেশ আইয়ার, এমফাসিস

“আইটি এর শেষ দশ বছর মানুষের কাজ করার উপায় পরিবর্তন সম্পর্কে ছিল। আই টি টি র পরবর্তী দশ বছর আপনার ব্যবসায়ের রদবদল সম্পর্কে হবে।
- অ্যারন লেভি, বক্স

"90% সিইও বিশ্বাস করেন যে ডিজিটাল অর্থনীতি তাদের শিল্পকে প্রভাবিত করবে, তবে 15% এরও কম ডিজিটাল কৌশল বাস্তবায়ন করছে।"
- এমআইটি স্লোয়ান এন্ড   ক্যাপগেমিনি

"আপনি আপনার কোম্পানির জন্য ডিজিটাল রূপান্তর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না ...আপনার এবং আপনার নির্বাহীদের এটির মালিক হতে হবে! এক্সিকিউটিভদের সর্বশেষ এবং উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির সাথে কাজ করার নতুন উপায়গুলি জড়িত, আলিঙ্গন এবং গ্রহণ করতে হবে। "
- ব্যারি রস, রস এন্ড  রস আন্তর্জাতিক

“ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প নেই। ভিশনারি সংস্থাগুলি তাদের জন্য নতুন কৌশলগত বিকল্পগুলি তৈরি করবে - যেগুলি অভিযোজিত নয়, তারা ব্যর্থ হবে। "
- জেফ বেজোস, অ্যামাজন

“পরবর্তী 5 বছর শেষ 15 এর চেয়ে বেশি বিঘ্নজনক হবে।
এটি যথারীতি ব্যবসা নয়। তিন বছর আগে আসা প্রচুর প্রযুক্তি আর কাজ করে না ”
- শৌল বার্মান, আইবিএম